ডকেট পেয়েছে ডিবি পুলিশ নতুন করে তদন্ত শিগগির

আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার হত্যা মামলার ডকেট পেয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা পতেঙ্গা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন সরকারের কাছে ডকেট হস্তান্তর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর ডিবির উপকমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, তাসফিয়া হত্যা মামলার ডকেট হাতে পেয়েছি। ডকেটগুলো পর্যালোচনা করে শিগগির নতুন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর আগে গেল সপ্তাহে সিএমপি কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ সভায় চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি নগর ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নগরের কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহেদুল ইসলাম জানান, তাসফিয়া কী আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তা জানতে ঢাকায় সিআইডি’র ল্যাবে পাঠানো চারটি পরীক্ষার ফলাফল চমেকের ফরেনসিক বিভাগে এসেছে। তাসফিয়ার ময়নাতদন্তকারী চিকিসক হলেন- চমেকের ফরেনসিক বিভাগের ডা.সুজন কুমার দাশ। চলতি সপ্তাহের মধ্যে তাসফিয়ার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলে জানান এ চিকিৎসক। চার পরীক্ষার ফলাফলে মৃত্যুর আগে তাসফিয়া ধর্ষিত হয়নি এবং রক্তে কোনো প্রকার বিষক্রিয়ায়ও তার মৃত্যু হয়নি বলে জানান সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহেদুল ইসলাম।
গত ২ মে সকালে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ১৮ নম্বর ব্রিজঘাটের পাথরের ওপর থেকে সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত লাশ মনে করা হলেও পরিচয় মেলার পর একই দিন সন্ধ্যায় খুলশি থানার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাসা থেকে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে (১৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ।
আদনান মির্জা নগরের বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তাসফিয়াকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে তার বাবা মো. আমীন গত ৩ মে দুপুরে আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। আসামিরা হলেন- আদনান মির্জা, সৈকত মিরাজ, আশিক মিজান, ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম, মো. মোহাইন ও মো. ফিরোজ। এরমধ্যে ঘটনার পরদিন তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জা এবং গত ২৩ মে রাতে আশিক মিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।